Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শিশুদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে ডিপজল : যে যা পারেন তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন

শিশুদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে ডিপজল : যে যা পারেন তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন

ঋণ আদায় না করে বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এখন ওই এলাকা থেকে ঋণ আদায়ের প্রশ্নই ওঠে না। তাদের আরও নতুন ঋণ দিন। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। উপরিভাগ থেকে নেমে আসা টানা বর্ষণ ও বর্ষণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জলাবদ্ধ মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমন পরিস্থিতিতে
গত শনিবার (১৮ জুন) ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক সেমিনারে গভর্নর এ নির্দেশ দেন।

ডিপজল বলেন, আমি যেতাম, কিন্তু আমার শরীর ভালো বোধ করছি না। আমি তিন, চার বা পাঁচ ট্রাকের ব্যবস্থা করছি। আমি প্রতি সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে দশ ট্রাক খাবার পাঠিয়ে দেব। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ও রেল যোগাযোগ। প্লাবিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। শুকনো খাবার ও খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি অনেককে নাড়া দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে ওই এলাকায় কীভাবে সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন পোস্ট রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। একইভাবে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। শনিবার নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এক লাইভে তিনি এ কথা বলেন। ডিপজল লাইভে বলেন, আমরা দু-এক দিনের মধ্যে স্বস্তি নেব। তবে সবাই চেষ্টা করবে শিশুদের জন্য আরও কিছু করার। কারণ শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ে। বাবা-মা এক বা দুই দিন থাকতে পারেন, কিন্তু সন্তানেরা পারে না। আমরা শিশুদের খাবার বাড়াচ্ছি। আমি যেতাম, কিন্তু আমি ভালো বোধ করছি না, তিনি বলেছিলেন। আমি তিন, চার বা পাঁচ ট্রাকের ব্যবস্থা করছি। আমাকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে দশ ট্রাক খাবার পাঠাবো। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অভিনেতা বলেন, সবাই শুকনো খাবার দেবেন। কারণ রান্না-খাওয়া খুব কম। যেখানেই থাকুন, সবাই যা পারেন তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, ভারতের মেঘালয় থেকে ভারী বর্ষণ ও খাড়া ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী এই দুই জেলা। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছে। দুই জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পানি প্রবেশ করায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহনের অভাবে অনেক অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন না। শহর ও গ্রামের প্রায় সব সড়কই পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

 

About Syful Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *