দুটি ছোট্ট শিশু মিষ্টি কিনটে হাজির হয় মিষ্টির দোকানে। সেখানে গিয়ে তারা বেশ আশা নিয়ে দামি কিছু মিষ্টি দেওয়ার জন্য অর্ডার করে। মিষ্টি প্যাকিং করার পর তারা যখন দাম দিতে যায় সেই সময় তারা এক বা দু’শো টাকা বের না করে, বের করে ১০০০ টাকার নোট। এত বড় নোট দেখে দোকানদার প্রথম দিকে ঘাবড়ে যায়। দোকানদার নোটটি ভালো করে চেক করলে তার সন্দেহ হয়। এরপর তাদের পোশাক তল্লাশি করে ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। সব টাকাগুলোই জাল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাদের অনুসরণ করে পুলিশ জাল টাকার কারখানায় পৌঁছায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪ লাখ জাল টাকা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ব্রি-দেবস্থান গ্রামে। ওই গ্রামের কাশেম মিয়ার বাড়ি থেকে জাল টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তল্লাশিকালে কাশেম মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম পা”লিয়ে যায়। ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আশরাফুল বলেন, কাশেম ওই দুই শি”শুর সম্পর্কে নানা। শি”শুরা তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাজারে আসে। তল্লাশিকালে কাশেম মিয়াকে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের কাছে কাশেম মিয়া দাবি করেছেন, জাল নোট ও সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এসব উপকরণ কিভাবে এনেছেন জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাশেম মিয়ার বড় ছেলে ডালিম মিয়া (৪০) একাধিক মামলার আসামি। তার মেয়ে জামাই সেলিম মিয়া (৪৫) সম্প্রতি ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান যিনি ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই বিষয়ে জানান, জাল টাকা পাওয়া গেছে এবং এই বিষয়ে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি কোনো হালকা বিষয় নয়, এটিকে আমরা বেশ গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত করছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।