আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা প্রত্যহ কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ বক্তব্য প্রদান করছেন। নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে এসে করছেন আন্দোলন ফলে ঘটছে নানারকম অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বারের সাবেক সেক্রেটারি ওমর ফারুক ফারুকী।
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা’ করার অভিযোগে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদেশ জারি করবেন বলে জানান।
বাদীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আবেদনে অন্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আগা খা মিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী। , ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক মিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোবাশ্বের চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রজব হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন টেনু প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপনগর থানা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোকন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কেশেম মোল্লা, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য তুহিন, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মান্নান, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটু, সাধারণ সম্পাদক মো. সম্পাদক সালা উদ্দিন রবিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সালাম চৌধুরী।
অভিযোগে বলা হয়, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও প্রাণনাশের প্রতিবাদে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি পল্লবী থানাধীন মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশের হাতে ৩ (তিন) দলীয় নেতা মো. দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ আসামি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অবৈধভাবে লাঠি, অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে।
আসামিদের হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া ওই সময় তিনি মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করেন।
মামলাটিতে পেনাল কোডের ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/২৩৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৪২৭/৪৪০ ও ১০৯ ধারায় আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী দ্বাদশ নির্বাচন সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীদের মাঝে পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতে পারে নিরেপেক্ষ নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়, তাই শান্তি বজায় রাখতে যা যা করা উচিত সব ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।