সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ীভাবে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে ফের আম’রন অনশনে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রফিকুল ইসলাম শামীম নামের একজন ছাত্র সবার সামনে বিষ খেয়ে আ/ত্মহ’ননের চেষ্টা করেন।
আজ রবিবার অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে এই ঘটনা ঘটে। রফিকুল ইসলাম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্র। সেই সময় তাকে তার সহপাঠিরা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আ’/ন্দো’/লনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন ও রাকিব হোসেন জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শামীম। এ সময় হঠাৎ পকেট থেকে একটি বিষের বোতল বের করে সবার সামনে পান করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিব হাসনাত বলেন, রফিকুল ইসলাম শামীম নামে এক শিক্ষার্থীকে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তিনি এখন শ’ঙ্কামুক্ত।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কে’টে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে দ্বিতীয় দফায় আবারও আ’/ন্দো’/লন ও আম’/রণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দ্বিতীয় দ’ফায় আবারও অনশনের মধ্য দিয়ে আ’/ন্দো’লন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফারহানা ইয়াসমিন আগে পুরুষ শিক্ষার্থীদের লম্বা চুল ছাঁটাতে বলেছিলেন। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর, তিনি একটি পরীক্ষার হলের সামনে কাঁচি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, যেখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। যেসব ছাত্রদের চুল লম্বা ছিল তাদেরকে তিনি থামিয়ে দেন। পরে তিনি প্রবেশ পথে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কে’টে দেন। এরপর ওই শিক্ষক পরীক্ষার হলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন ও লা’/ঞ্ছিত করেন। ঘটনাটি ভাইরাল হয় যখন ভু’ক্তভো’/গী ছাত্ররা প্র/তি’বাদে ফে’সবুকে এটি সম্পর্কে পোস্ট করে।