ফেনীতে এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে জোর করে খারাপ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের একজন এসআই এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর ঐ পুলিশকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন ঐ শিক্ষিকা। এই ঘটনার পর ঐ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ঐ শিক্ষিকার সাথে ঐ এসআইয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত আলা উদ্দিন কক্সবাজার সদর উপজেলার লামাছি পাড়ার কাশেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফেনী পুলিশের বিশেষ শাখায় (ডিএসবি) কর্মরত। তবে বর্তমানে তিনি ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ঐ ভু”ক্তভোগী নারী ফেনী পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০২০ সালে এসআই আলা উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঐ নারীর। বিয়ের কয়েক মাস পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত বছর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
এরই মধ্যে লন্ডনের এক যুবককে বিয়ে করেন ঐ শিক্ষিকা। তিনি বর্তমানে তার সাথে বসবাস করছেন। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকার স্বামী লন্ডনে পাড়ি জমান। বিষয়টি জানার পর অভিযুক্ত আলা উদ্দিন ভু”ক্তভোগী শিক্ষিকাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করেন, ২৩ নভেম্বর বিকেলে আলা উদ্দিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে খারাপ কাজ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হ”/ত্যার হু”মকি দেয়। আলা উদ্দিন প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় চলে যাওয়ার খবর পেয়ে শনিবার রাতে ভু”ক্তভোগী শিক্ষিকা থানায় গিয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, শনিবার রাতে ভি”কটিম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থোয়াই অং প্রু মারমা যিনি ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি মামলার বিষয়ে জানান, শনিবার রাতের দিকে ঐ শিক্ষিকা থানায় এসে নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে গেছেন এবং তদন্ত চলমান আছে। যদি অভিযুক্ত আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে জোর করে খারাপ কাজের বিষয়টি সত্য প্রমানিত হয় তাহলে তার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।