কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় শহীদ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. জালাল উদ্দিনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণ করার দাবি তুলে মিছিল বের করে ঐ এলাকার বাসিন্দারা। একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে আপত্তিকর ছবি তোলার পর সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন ঐ প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় তোলপাড় শুরু সৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর বাজারে স্থানীয়দের ব্যানারে এ বিক্ষো’ভ মি’ছিল বের করে। মিছিলটি মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিক্ষু’ব্ধ দুই শতাধিক জনতা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেন। মিছিল শেষে মির্জাপুর আলিম মাদ্রাসার সামনের পাকা সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি কখনো শিক্ষক হিসেবে থাকতে পারে না। যার মধ্যে কোনো আদর্শ নেই, তার কাছে থেকে কোনো শিক্ষার্থী আদর্শ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণ দাবি করছি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মো. জালাল উদ্দিন একই বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একবার আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটকও করে এলাকাবাসী। তিনি বিদ্যালয় ছুটির পর ঐ শিক্ষিকাকে থাকতে বলেন এবং এরপর তারা নির্জন বিদ্যালের কক্ষে খারাপ কাজ করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে। গত সোমবার প্রধান শিক্ষকের নামের এক ফে’সবুক আইডির স্টোরিতে শিক্ষিকার একটি আপত্তিজনক ছবি আপলোড করা হয়। যা মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মি’/ছিল ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী।
মো. জালাল উদ্দিন যিনি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার সাথে কথা বলা যায়নি। রোজলিন শহীদ চৌধুরী যিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি দেশের একটি নামকরা গনমাধ্যমকে বলেন, আমি শুনতে পেরেছি সেখানকার স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলে মি’ছিল করেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে এই বিষয়টি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।