টেক্সাসের ২৭ বছর বয়সী শিক্ষক আদ্রিয়ানা মারিয়েল রুলান দ্বারা একটি ১৩ বছর বয়সী ছেলে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। একবার বা দুবার নয়, অন্তত ১২ বার ওই ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ অভিযোগে আদ্রিয়ানা মারিয়েল রুলানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি টেক্সাসের লারেডোতে আন্তোনিও গঞ্জালেস মিডল স্কুলের একজন শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক ছিলেন। এ বিষয়ে আদালতে দেওয়া হলফনামায় তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষক টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর স্কুল চলাকালীন ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে অন্তত ১২ বার সে ছেলেটির সঙ্গে সেক্স করে। অনলাইন টরন্টো সান এ খবর দিয়েছে।
সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর, ছেলেটি অন্য একটি মেয়েকে স্ন্যাপচ্যাটে আমন্ত্রণ জানায়। আদ্রিয়ানা মেরিয়েল রুলান রেগে যান। পুলিশ জানায়, ১৩ বছরের ছেলেটির বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারেন।
তারা স্কুলে ছুটে যায়, যেখানে আদ্রিয়ানা মেরিয়েল রুলান পড়ায়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। ছেলেটির বাবা-মা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে তাদের ছেলে স্থানীয় একাডেমি থেকে কিছু কেনার জন্য কারও কাছ থেকে নগদ ১৩৩ ডলার পেয়েছে। তিনি জানান, তার এক ভালো বন্ধু এই টাকা দিয়েছেন।
এক পর্যায়ে ছেলেটির সৎ বাবা ক্যাশ অ্যাপে খোঁজ করেন। তিনি দেখেন যে এই অ্যাপটি তার জন্য লাভজনক। এটি পাঠিয়েছিলেন রুলান নামের এক নারী। অ্যাকাউন্টে তিনি একটি কুকুরের ছবি তাঁর ‘অবতার’ হিসেবে রেখেছেন। কৌতূহলী হয়ে সে আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করল। এর থেকে বেরিয়ে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। এটি দেখায় যে আদানপ্রদান করা পাঠ্যটি গোলাপী হার্ট ইমোজি সহ আদ্রিয়ানা নামে এক মহিলা পাঠিয়েছিলেন। এ নিয়ে তার বাবা-মা ছেলের মুখোমুখি হন। কিন্তু তারপর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে তার চিন্তিত সৎ বাবা আদ্রিয়ানাকে ফোন করে। সে বলল যে সে ছেলেটির শিক্ষক। তিনি পলাতক ছেলেটিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ছেলেটিকে তার সঙ্গী উদ্ধার করে। গোয়েন্দারা জানান, ওই শিক্ষক ছেলেটিকে বারবার ফোন করেন। তিনি বারবার তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। তদন্তকালে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, একপর্যায়ে শিক্ষিকা রুলান ওই ছেলেটিকে বলেন, তিনি মনে করেন তিনি ওই ছেলেটির সন্তানকে গর্ভধারণ করেছেন।
এছাড়া স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ছেলেটিকে রুলান যে ছবি পাঠিয়েছিলেন তাও পেয়েছিলেন। তার মধ্যে তার বিকিনি পরা ছবি রয়েছে। অন্তর্বাসে ছবি আছে। শরীরের উপরের অংশ খালি- এমন চিত্র। যৌনতার বিভিন্ন ছবি।
এদিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে ছেলেটি। এ জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে একটি মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়।