ঘুষ এবং দুর্নীতি সরকারি কার্যালয়গুলোতে অনেকটা গ্রথিত হয় বসে আছে। সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা সত্বেও বিভিন্ন কায়দায় এবং ফাঁক না রেখেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নামে নিয়ে থাকে ঘুষ। তবে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্রিয়তার কারণে অনেক সময়ে ঘুষের বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তির বিষয় বের করতে দুদক অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এবার ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন রংপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম।
শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে দুদকের সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
জানা যায়, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম বেতন বৃদ্ধি ও ইনক্রিমেন্ট পেতে শিক্ষকদের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মাসের পর মাস শিক্ষকদের ঘোরাতে থাকেন তিনি। পরে ওই অফিস সহকারী শিক্ষক পরিমান কমিয়ে প্রতি দুই হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানান। বিষয়টি দুদকের নজরে আনেন রংপুর পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু শামীমসহ ৮ শিক্ষক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুদকের একটি দল ছদ্মবেশে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অবস্থান নেয়।
এসময় আবু শামীমসহ ৮ শিক্ষক অফিস সহকারী শহিদুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে তার কাছে ১৬ হাজার টাকা ঘুষ দেন। টাকা নিয়ে গুনতে ঠাকা অফিস সহকারী শহিদুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসেন শরীফ বলেন, ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় শহিদুল ইসলামকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা হয়েছে এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘুষ বিরোধী অভিযান এমন ভাবেই চলতে থাকবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকারি কার্যালয়গুলোতে যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে তারা জনগণের সেবার জন্য বসে রয়েছেন। তাই তারা যদি কোনরকম ঘুষ দাবি করে সেক্ষেত্রে দুদককে জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি যাতে কমে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তাই আপনাদের সহায়তা একান্ত ভাবে কাম্য।