কোনো একজন সম্মানীয় মানুষকে ফুলের মালা পারানোর পর যদি ঐ সম্মানীয় ব্যক্তিকে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কী হতে পারে সেটা আমাদের নিকট স্পষ্ট। জুতার মালা পরানো মানে চরমভাবে অপমান করা। এবার এক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার গলায় ফুলের মালা পরাতে পরাতে জুতা দিয়ে মালা পরিয়ে দিয়ে বরন করানোর একটি ভিডিও করার পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর পরই সেটা ভাইরাল হতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে। ভারতের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের করা একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অভিভাবক সমিতির সদস্যরা তাকে বরনের করে নেওয়ার সময় একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি শিক্ষাকর্মকর্তার অজান্তেই তাকে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন।
ভারতের লুধিয়ানায় জেলা শিক্ষা অফিসে শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। লাখবীর সিং নামে ওই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এই ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, অভিভাবক অ্যাসোশিয়েশনের কয়েকজন সদস্য এসে তাকে সম্মাননা দিতে চান। প্রথমে অভিভাবক অ্যাসোশিয়েশনের সদস্যরা ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এর পর ছবি তোলার জন্য দাঁড়ালে তারা ফুলের মালা পরানোর মধ্যেই হঠাৎ একটি জুতার মালা বের করে তার গলায় পরিয়ে দেন। অবশ্য বিষয়টি প্রথমে তিনি বুঝতেই পারেনি।
ভারতের সাংবাদিক মোহাম্মদ গাজ্জালী টুইটারে ওই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, অভিভাবক অ্যাসোশিয়েশনের সদস্যরা তাদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় হ’তাশ হয়ে লুধিয়ানার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। বিষয়টি টের পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি হাসিমুখে ছবি তুলে যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনার বিষয়ে রাজিনদর ঘাই যিনি অভিভাবক সমিতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন তিনি জানান, কিছু দিন আগে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারীদের সাথে খারাপ কাজের চেষ্টা করার বিষয়ে অভিযোগ আনা হয় কিন্তু ঐ কর্মকর্তা এ বিষয়টিকে আমলে নেননি। যেটা সমিতির সদস্যদের মধ্যে একটি ক্ষোভের জন্ম নেয় এবং তার প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই অপমানজনক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনার পর ঐ কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপে গিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।