যশোরের মণিরামপুরে স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি মণিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ মনিরামপুর পৌর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সাময়িক অব্যাহতির চিঠিটি সাংবাদিকদের হাতে আসে।
সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশক্রমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। (ক) গঠনতন্ত্রের নোটিশে সাড়া না দেওয়ায় মিজানুর রহমানকে দুর্গাপুর ৪র্থ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন ডিউটিতে ছিলেন শিক্ষিকা ছলিমা আক্তার। হঠাৎ দেখেন, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম শিক্ষকদের বেসিনের কল খোলার চেষ্টা করছে। এ কারণে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করে।
মুহূর্তের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে কিল-ঘুসি মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন অন্যান্য শিক্ষকরা। ওই শিক্ষিকা মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার মিজানুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।