শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর পদে বহাল আছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতবিরোধের কারণে আপাতত বঙ্গভবন ছাড়তে হচ্ছে না তাঁকে, যদিও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণে নতুন সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট তৈরির বিপক্ষে অবস্থান নিলেও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিএনপির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাদের পাঁচ দফা দাবি পুনরায় তুলে ধরে।
সরকার নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে আলোচনা করলেও, একাধিক সম্ভাব্য ব্যক্তির মধ্যে কেউই এ দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে তিনিও তা প্রত্যাখ্যান করেন।
অন্যদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রাষ্ট্রীয় সফর শেষে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে শুক্রবারে।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির পদে সাহাবুদ্দিন কতদিন থাকতে পারবেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে সংসদ প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এ পথও বন্ধ।
সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হলেও, শিক্ষার্থীদের দাবি ও সরকারের অস্বস্তির মধ্যে রাষ্ট্রপতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছেই।