ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির, দাবি করেছে—একটি ছাত্রসংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে বরাবরের মতো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কায়দায় শিবিরের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন ঘটনায় তারা বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। তারা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন মিডিয়া ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রদল বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাঙ্গনে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেটি নস্যাৎ করতে একটি গোষ্ঠী আবারও দখলদারি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বিবৃতিতে।
“আমরা আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত সুচিকিৎসা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে, হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষাঙ্গনে নতুন করে ফ্যাসিবাদী নীতি ফিরিয়ে আনার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”