Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখা দেখে ভয় পেলেন শিক্ষামন্ত্রী, জানালেন কারন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখা দেখে ভয় পেলেন শিক্ষামন্ত্রী, জানালেন কারন

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতি বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে এবং সেইসাথে তাদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দেশ পরিচালনা করতে রাজনীতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অবশ্যই ছড়িয়ে যাবে। সফল মানুষ হওয়ার জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা খুব দরকার। এটা ছাড়া দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের দাঁড় করানো যায় না। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, তোমরা যদি রাজনীতি বিষয়ে সচেতন না হও, তাহলে তোমাদের কাছে যে দায়িত্ব পড়বে সেটা তোমরা যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবে না। তোমরা সরাসরি কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকো বা না থাকো, তোমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নও। তাই সকলকেই রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন হতে হবে, দেশের উন্নয়নের জন্য সঠিক রাজনীতির নীতিকে বাছাই করে নিতে হবে।

আজ রবিবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিন যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসকল কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সকলের রাজনীতি সচেতন হওয়াটা অনেকটা বাঞ্ছনীয়। এই আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজনীতিকদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এটা আমার নিকট বেশ ভালো লেগেছে। তার মানে হল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসটি রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। আমার দুইটি প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভয় পেয়েছি। কারণ সেখানে লেখা আছে- ধুমপান ও রাজনীতিমুক্ত ক্যম্পাস। অর্থাৎ ধূমপানের মতো রাজনীতিটাও পরিত্যর্জ্য। এই ম্যাসেজ সেই প্রতিষ্ঠান দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ডা. দীপু মনি বলেন, জীবনের সব ক্ষেত্রের মতো রাজনীতিতেও ভালো-মন্দ আছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে রাজনীতি ভলো নয়। রাজনীতি সেই জায়গা, যেখানে জীবনের সব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আমাদের ব্যক্তি জীবনটা কেমন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিই। কিন্তু আমাদের জীবন-জীবিকা কেমন চলবে, দেশটা কেমন হবে, আমার লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে কি থাকবে না, খবারের সংস্থান হবে কি হবে না, কাজের সংস্থান হবে কি হবে না, সকালে উঠে কলটা চালালে পানি আসবে কি আসবে না, সেই সিদ্ধান্তগুলো যেখানে গৃহীত হয় সেটাই রাজনীতি। সেখানে দায়িত্বে পাশাপাশি ক্ষমতারও একটি যোগ আছে। সেখানে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক আসতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, রাজনীতির জায়গা ঠিক নয়। মানুষের জন্যই রাজনীতি করতে হবে। মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক জীব। রাজনীতির বাইরে কেউ নয়, রাজনীতির ঊর্ধ্বেও মানুষ নয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করো বা না করো, সেটা একেবারে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপচ্ছন্দের ব্যাপার। দলীয় রাজনীতি করবে কি করবে না সেটা তোমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু রাজনীতি সচেতন না হয়ে তুমি সফল মানুষ হতে পারবে না। সুনাগরিক হতে পারবে না। কারণ তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় তোমার সিদ্ধান্ত, তোমার দেশের সিদ্ধান্ত কে নেবে সেই সিদ্ধান্ত তুমি সঠিকভাবে নিতে পারবে না। তাই তোমাকে রাজনীতি সচেতন হতেই হবে। ভালো আর মন্দের তফাৎ বুঝতেই হবে, সাদা আর কালোর তফাৎ করতেই হবে।

মন্ত্রী বলেন, রাজনীতির নামে অনেক কিছু দেখেছি। রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হ’/ত্য করতে দেখেছি, ষড়য’ন্ত্র দেখেছি। রাজনীতির নামে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহি’নীর হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা দেখেছি, নারীদের হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দেখেছি। রাজনীতির নামে জাতির পিতাকে হ’/ত্যা করতে দেখেছি। তাকে হ’/ত্যা করে কোন্ রাজনীতি করা হলো?

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি সেটাই যার মধ্যে থাকে দেশের জন্য ভালোবাসা, দেশের সেবা, মানুষের জন্য ভালোবাসা, মানুষের সেবা। আশা করি তোমরা সবাই রাজনীতি করো বা না করো, সেই রাজনীতির সঠিক পথ তোমরা বেছে নিতে পারবে।

সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মার্চ মাসে সংক্রমণ বেশি বাড়ছে।

এজন্য আমাদেরকে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা দেখতে হবে। তবে আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কারণ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। যাতে করে আমাদের আর কোন ধরনের বড় সংকটময় পরিস্থিতিতে না পড়তে হয। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে, আমি যেখানে গিয়েছি সেখানে একটি জিনিস খেয়াল করেছি, দেখেছি, মাস্ক মুখে না পরে কেউ গলায়, কেউ হাতে, কিংবা কেউ পকেটে নিয়ে ঘুরছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এইভাবে কখনো আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে না। তাই সকলের সচেতনতা খুব দরকার।

About

Check Also

বাংলাদেশিদের ভিসা না দিয়ে এবার বড় বিপাকে ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা সৃষ্টি হওয়ায় কলকাতার অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। গত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *