রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীচর নামক এলাকার একটি ১১ বছর বয়সী ছাত্রীকে খারাপ কাজের অভিযোগে ফরিদুল ইসলাম নামের ২৭ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ছাত্রীকে একা পেয়ে সুযোগ নেয় ঐ মাদ্রাসা শিক্ষক। ঘটনার বিষয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য ঐ ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএইচএমসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কামরাঙ্গীচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা আনোয়ার জানান, মেয়েটি কামরাঙ্গীচরের একটি মাদ্রাসায় পড়তো। বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতেন। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ পেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদুল ইসলামকে আ’টক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আসরের নামাজের পর আমার মেয়েকে ক্লাসরুম থেকে শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। খারাপ কাজের পর কাউকে না বলার জন্য হু’মকি দেওয়া হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে দাদীকে বিষয়টি খুলে বলেন। শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক ফরিদুল ইসলামকে আট’ক করে থানায় নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় এলাকায় আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে ঐ শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন এবং তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের দাবি জানায়। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়ে তিনি কীভাবে কাজটি করতে পারলেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।