খারাপ কাজের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর পটুয়াখালী সদর উপজেলাযর বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী প্রেমিক রুহুল আমিনের বাড়িতে অবস্থান করার পর সেখানেই অনশনে বসেছেন ৩৫ বছর বয়সী একজন স্কুল শিক্ষিকা। আজ (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ৪ জানুয়ারী সকাল ১০টার দিকে ঐ শিক্ষকের বাড়িতে উপস্থিত হন এবং সেই সময় থেকে তিনি ঐ বাড়িতে রয়েছেন বলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার দুজনেই গত ৩ বছর যাবৎ একই বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন।
ওই শিক্ষিকা জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শারী’রিক সম্পর্ক করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছ থেকে কিছু দিন আগেও রুহুল আমিন ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। কম্পিউটার ক্রয়ের কথা বলে আমার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে। মোটরসাইকেল ক্রয়ের কথা বলে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতা’রণা করে বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে বহুত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি বিয়ের কথা বললে সময়ক্ষেপণ করত। গত ৩১ ডিসেম্বর আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখি সে বিবাহিত।
এদিকে প্রেমিকা সকালে অবস্থান শুরু করলে রুহুল আমিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, রুহুল আমিন মাস্টারের আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই মেয়ের সঙ্গে অবৈ’ধ সম্পর্ক জানাজানি হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীরা সালিশ মীমাংসা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
রুহুল আমিন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, রুহুল আমিন নির্দোষ, সে একজন স্কুল শিক্ষক। এলাকাবাসী যা বলেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
ঘটনার পর ওই শিক্ষক রুহুল আমিন মাস্টারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় হাজির হয়ে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ দায়ের করেছেন। মনিরুজ্জামান যিনি অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই শিক্ষিকা যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা যাচাই করা হবে।