শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং খারাপ কাজের হয়রানীসহ নানা ধরনের অপকর্মের শিকার হয়ে থাকেন। এই ধরনের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মাঝে মাঝেই উঠে আসে। যেটা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে সরব হতেও দেখা যায়। এবার তেমনই ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর সাথে। ঐ তরুনী হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী, তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার মাধ্যমে পাস করানোর প্রলোভন দেয় ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই একজন শিক্ষক। এই ঘটনার পর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান।
ঐ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকের বিরুদ্ধে খারাপ কাজের হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় গত ২২ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি থানায় জিডিও করেছেন।
এ বিষয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফে’সবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওই ছাত্রী।
তিনি লিখেছেন- ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের অবশ্যই ভয় পাবে কিন্তু সেটা শ্রদ্ধার চোখে, কোনো অসাধু শিক্ষকের অনৈ’তিক প্রস্তাব না মানায় পরীক্ষায় বার বার ফেল হওয়ার ভয়ে নয়।
মেডিকেল কলেজে এত দিন আছি। এই প্রথম এ রকম অপ্রীতিকর প্রস্তাবের সম্মুখীন হলাম। যদিও এখন অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে যে তারাও এই একই শিক্ষকের দ্বারা বিভিন্নভাবে হেনস্থা হয়েছে। এখন আমি যাতে আর সামনে না আগাই সে জন্য বিভিন্ন দিক দিয়ে নতুন নতুন হু’মকি দেওয়া হচ্ছে।
ওই শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, তাকে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ওই শিক্ষক। তার বাসায় না এলে একই শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর রেখে দেওয়ারও হু’মকি দেন তিনি। সর্বশেষ গত ২২ ডিসেম্বর কলেজ থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে থানায় জিডি করেন তিনি।
থানায় ঐ ছাত্রীর করা সাধারন ডায়েরিতে অভিযোগ করে উল্লেখ করেন, পরীক্ষায় পাস করানো হবে না এবং তাকে শেষবর্ষে আরো কয়েক বছর রেখে দেওয়ার হুম’কি দেওয়ার মাধ্যমে ওই শিক্ষক তাকে সামাজিক মাধ্যমের মেসেঞ্জারে কুপ্র’স্তাব দেন। ঐ ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে বাসায় ও যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু বাসায় যাওয়ার জন্য অসম্মতি জানানোয় ঐ ছাত্রীর ওপর রাগান্বিত হয়ে বিভিন্নভাবে তাকে হু’মকি প্রদর্শন করতে থাকে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই শিক্ষক তার সাথে খারাপ আচারনের মাধ্যমে কু’প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।