বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির মুখে অবশেষে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সরকারের পদত্যাগের পর রাজধানীর সড়কে ট্রাফিক পুলিশ ছিল না। এ সময় শিক্ষার্থীদের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করতে দেখা যায়। পুরো ট্রাফিক কন্ট্রলের দায়িত্ব নিয়ে রাজধানীকে যানজট থেকে বাঁচিয়েছেন তারা। পথচারী, যাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে দেখা গেছে।
এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে শাড়ি পরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। ভিডিওটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, রোডের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ির লেন ঠিক রাখতে ব্যস্ত এক শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও গণপরিবহনগুলো নির্দিষ্ট স্থান থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তিনি মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাড়ি পরা ওই ছাত্রীর নাম আদিবা নাওমি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র।
শাড়ি পরে সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শাড়ি পরা ট্রাফিকের দায়িত্বকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ। একজন মেয়ে যেমন সালোয়ার-কামিজে সব কাজ করতে পারে, তেমনি শাড়িতেও করতে পারে। আমাদের মায়েরা বেশিরভাগ সময় শাড়ি পরেন।
তিনি আরও বলেন, সহিংস পরিস্থিতির জেরে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। ফলে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পথে নেমেছেন তারা।