বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই রিতা আক্তার নামে কমিউনিটি ক্লিনিকের এক প্রোভাইডারকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু তার এ প্রস্তাবে কোনো ভাবেও সাড়া দিচ্ছিলেন না রিতা আক্তার। আর এরই জের ধরে মেজাজ হারিয়ে আক্রমন করে বসেন ঐ যুবলীগ নেতা। জানা গেছে, এই মুহুর্তে হাসপালাতে ভর্তি ভুক্তভোগী ঐ তরুণী।
গত শনিবার সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের নছিয়াত উল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
নিহত রিতা আক্তার লালমনিরহাট পৌরসভার সাপটানা উছাতারি এলাকার ইসরাফিলের স্ত্রী।
জানা যায়, রীতা আক্তার সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে কাজ করেন। চাকরির সুবাদে তাকে প্রতিদিন কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হয়। যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ কর্মস্থলে যাওয়া-আসা এমনকি কর্মস্থলে যেতেন। বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক করে যুবলীগ নেতাকে তার আচরণ সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নিজের কর্ম সংশোধনের পরিবর্তে তিনি মহিলার উপর আরও ক্ষুব্ধ হন।
পরে শনিবার রিতা আক্তার তার কর্মস্থলে গেলে ওই যুবলীগ নেতা আবারও তার কার্যালয়ে লোহার রড নিয়ে বিরূপ প্রস্তাব দেন। সেটি প্রত্যক্ষান করায় জোর জরদস্তি করে শা’ড়ি’ টে’নে-হে’চ’রে শ্লী’ল’তা’হা’নী করেন তিনি। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে মারধর শুরু করে। পরে রিতা আক্তার চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় রীতা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় যুবলীগ নেতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা। রীতা আক্তার আরো বলেন, এখন তারা বাদীর পরিবারকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত দায়িত্ব। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সেই আলোকে অভিযুক্ত ঐ যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।