রাজনীতি এমন একটি বিষয় যেখানে একটি পক্ষ অপর পক্ষের সমালোচনা করে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। তবে শুধু বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নয় অনেক সময় একই দলের মধ্যে নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দেয়। যার কারণে বিপাকে পড়ে দল। এবার তেমনি ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪ নম্বর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) তালা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব।
তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারের কাছ থেকে মানুষ অনেক টাকা পায়। ওই পাওনাদাররা তার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার লোকজন তার অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুল হক বলেন, তিনি (শাহজালাল) আমার হাত ধরে প্রথমে ছাত্রলীগ ও পরে যুবলীগের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তখন তাকে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান করেছিলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হাতে-পায়ে ধরে বসিয়ে দিয়েছি। আমার কথায় তারা নির্বাচন থেকে বিরত থাকে। আর শাহজালাল বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হন। তাই তার মধ্যে অহংকার বাসা বেঁধেছে। তিনি অহংকারে অন্ধ হয়ে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪ নম্বর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নিজের পছন্দের সদস্য প্রার্থীকে পাস করতে না পারায় এমপি মুজিবুল হকের ক্ষো”ভ তার ওপর পড়ে।
উপজেলা পর্যায়ের যুবলীগের আহবায়ক এর পদটি আমার ছিল সেটা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়। এরপর বেশ কয়েকটি মামলা ঠুকে দেয় আমার বিরুদ্ধে। যেটা পুরোপুরি হয়রানি। আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেছি। কিন্তু গত সাত মাসে আমি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারি না। সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের যারা অনুসারী রয়েছে তারা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার অফিসে এসে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে।