কথায় আছে মেয়ের থেকে মেয়ের মাকে বেশি সুন্দর লাগে। তাইতো মেয়েকে বিয়ের পর মেয়ের মাকে নিয়ে পলায়ন করে আলোচনায় আয়তুল। প্রায় ৯ বছর সবার ধরা ছোয়ার বাহিরে ছিলেন তিনি। শাশুড়িকে নিয়ে ৯ বছর সংসার করার পর অবশেষে নৌকা ঘুনাতে হলো আয়তুলের।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শাশুড়িকে পালিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়তুল ইসলামকে (৩৩) প্রায় ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার আটপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আয়াতুল মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ-সাহিলদেও ইউনিয়নের মেডিপাথারখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
২০১১ সালে করা এই মামলায় ২০১৩ সালে আয়াতুলকে এক বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেন আয়াতুল। একপর্যায়ে শাশুড়ি নাসরিনের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে শাশুড়ির সঙ্গে পালিয়ে সিলেটে গিয়ে বিয়ে করে কয়েক মাস একসঙ্গে বসবাস করেন। এ ঘটনায় শ্বশুর মতি মিয়া বাদী হয়ে আয়াতুলকে আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মামলার বাদী মতি মিয়া দেড় বছর আগে মারা যান।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকালে আয়াতুলকে আদালতে পাঠানো হবে।
শ্বশুরের করা মামলা শ্বশুরের প্রনায়নের পরেও পিছু ছাড়েনি আয়তুলের। স্ত্রী সাথে দীর্ঘদিন সংসার করার পর তার মাকে নিয়ে আবার সংসার করার বিষয়টা এলাবাসী ঘৃন্য কাজ বলে আক্ষায়ীত করেছেন। শ্বশুড়ি নিজের মায়ের মত তার সাথে এমন কাজ করা নাজায়েজ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।