স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। গতকাল বুধবার অর্থাৎ ২ নভেম্বর দুপুরের পর ওই ছাত্রী কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজ গেট এলাকায় অবস্থিত নাঈম ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন। তিনি স্ত্রীর স্বীকৃতি ছাড়া সেখান থেকে কোথাও যাবেন না বলেও জানিয়েছে।
নাঈম ইসলাম ওই এলাকার পলাশ মিয়ার ছেলে। তিনি কাকিনা উত্তরবঙ্গ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই কলেজ ছাত্রীও তার সহপাঠী।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে দুজনে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় নাঈম ইসলামের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে নাঈমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ওই তরুণী। ঐ তরুনী বলেন, কিছুদিন শারীরিক সম্পর্ক করার পর সে এমন করতে শুরু করে। তারপর আমি অনেকটা জোর করে এক সাথে থাকার চেষ্টা করেছি।
মেয়েটির দাবি, ৬ মাস আগে লালমনিরহাটে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। ওই তরুণী নাঈমকে বিয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানানোর জন্য চাপ দেন। বিষয়টি বাসায় না জানিয়ে টালবাহানা শুরু করে নাঈম। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে নাঈম ইসলাম তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরে কলেজ ছাত্রীকে ২৮ অক্টোবর থেকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে নাঈমের বাড়িতে যেতে বাধ্য করা হয়। নাঈমের পরিবার বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে এবং মানসিক নির্যা”/তন করে তাকে বের করে দেয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে অনশনে বসে আছেন।
মেয়েটির বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, নাঈমের পরিবার মেনে নিতে পারছে না আমরা গরীব বলে। আমার মেয়ে শুক্রবার থেকে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছে। আমি সুবিচার চাই।
অভিযুক্ত নাঈম ইসলাম বলেন, আমি তাকে বিয়ে করেছি সত্যি আবার তালাকও দিয়েছি।
এটিএম গোলাম রসূল যিনি কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, যারা সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাদের কয়েকজন আমাদেরকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। আপাতত তারা পারিবারিকভাবে কিভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করছেন। এখনো পর্যন্ত থানায় এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আমরা আইনগতভাবে পদক্ষেপ নিব।