ভারতীয় এক বিমানবালাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর, তার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে কাজ করা একজন সুইপার তাকে গ/লা কে/টে হত্যা করেছে। হ/ত্যার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে পুলিশের কাছে ওই ব্যাক্তি এই ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে রবিবার, মুম্বাইয়ের শহরতলির আন্ধেরিতে তার অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাট থেকে রূপল ওগ্রে নামে বিমানকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিডিয়া অনুসারে, নিহত এয়ারম্যান রুপাল ওগ্রে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বাসিন্দা এবং এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি পাওয়ার পর এই বছরের এপ্রিলে মুম্বাইতে চলে আসেন। তিনি সেখানে তার বোন এবং তার প্রেমিকের সাথে থাকতেন।
সম্প্রতি তার বোন এবং তার প্রেমিক দুজনেই মুম্বাই ছেড়ে চলে গেছেন। আর তারপরই লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম বিক্রম অটওয়াল এবং সে অ্যাপার্টমেন্টে ঝাড়ুদারের কাজ করত।
ফ্রি প্রেস জার্নাল অনুসারে, ৪০ বছর বয়সী অভিযুক্তকে, যাকে ২৪ বছর বয়সী এয়ার হোস্টেস রূপল ওগ্রের নিথর করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, মঙ্গলবার পুলিশ তাকে আন্ধেরির স্থানীয় আদালতে হাজির করেছিল। এ সময় পেশায় সুইপার বিক্রম রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষ/ণ করতে চেয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন।
শুনানি শেষে আসামিকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, রুপালের পরিবারের সদস্যরা বহুবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছিলো না। তাই তারা ওই বিমানবালার বন্ধুদের তার বিষয়ে খোঁজ নিতে বলে। বন্ধুরা যখন ফ্ল্যাটটি আসে তখন তারা দেখতে পায় রুম ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে গত রোববার রাত ১১টার দিকে পুলিশ এসে বাড়িতে প্রবেশ করলে ফ্ল্যাটের বাথরুমের কাছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
এরপর বিক্রমকে সন্দেবজন হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে কাজ করত এবং গ্রেফতারের পরপরই সে তার অপরাধ স্বীকার করে। তবে সে অপরাধ স্বীকার করার আগেই তাকে গ্রেফতার করার সময় তার জামায় রক্তের দাগ পায় পুলিশ।
কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর, বিক্রম অটওয়াল স্বীকার করেছেন যে খুনের দুই দিন আগে গত শুক্রবার রূপল ওগ্রের সাথে তার ‘তর্ক’ হয়েছিল। মূলত পরিচ্ছন্নতার কাজ ঠিকমতো না করায় রুপাল তাকে ‘তিরস্কার’ করেন। আর এতে অভিযুক্তর ক্ষোভ হয়।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ‘রূপল ওগ্রেকে ধ/র্ষণ করার জন্য ধারালো ব/স্তু নিয়ে ওই নারীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন বিক্রম। তিনি প্রথমে ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে ধর্ষ/ণের চেষ্টা করেন, কিন্তু মহিলা আত্মরক্ষা করতে পারেনি। নিজেকে বাঁচাতে অভিযুক্তকে ধাক্কা, চড় ও লাথি মারেন ওই মহিলা। অভিযুক্তের সারা শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে, যা হাতাহাতির প্রমাণ দেখায়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ওই নারী ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত বিক্রম আতঙ্কিত হয়ে ভিকটিমকে গ/লা কে/টে হত্যা করে।
যদিও পুলিশ আগেই জানিয়েছিল বিক্রমের মাথায় চোট রয়েছে। তাদের ধারণা, রুপালের ওপর হামলার পর সে হয়তো প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। আর সেই কারণেই মাথায় আঘাত পান বিক্রম।