সারিকা বাংলাদেশের ছোট পর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে। তবে ব্যক্তি জীবনে তেমন একটা সুখী হতে পারেননি তিনি।সারিকার প্রথম বিয়ে টেকেনি। পাঁচ বছর পর আবারও গাঁটছড়া বাঁধেন নাটক ও মডেলিংয়ের জনপ্রিয় এই মুখ। ক্যালেন্ডার চেক করে বিয়ে করলেন সারিকা। ০২.০২.২২, মানে ২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২২৷ তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি তার জীবনসঙ্গীর সাথে মিলে সংখ্যার মতো বাকি পথটি হাঁটতে পারবেন৷ কিন্তু তা আর কোথায় হচ্ছে!
বিয়ের বছন না ঘুরতেই দ্বিতীয় সংসারও ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সারিকা।
নায়িকার অভিযোগ স্বামী তাকে চর্টার করত। এখন আলাদা থাকছেন তারা।
সংসার জীবনে অতিষ্ট সারিকা বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন।
স্বামী আমাকে নির্যাতন করতো, সে (স্বামী) আমাকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে নির্যাতন করতো বলে মন্তব্য করেছেন নায়িকা। আমি তার স্ত্রী, আমি একজন শিল্পী, সে আমাকে যেভাবে অত্যাচার করে তা আমি সহ্য করতে পারি না। আমাদের বিয়ের সময় ২০ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়েছিল। আমার পরিবার আমাকে ২৫ লাখ টাকার সোনার অলংকার, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র দিয়েছে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই সে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। আমার পরিবারকে তার জন্য টাকা আনতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে অকথ্য গালিগালাজ, মারধর করে। সেজন্য মামলা করেছি।
এ ঘটনার জেরে জীবন শেষ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, আদালতই বিচার করবে। আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। আদালতের রায়ের পর আমি অবসান বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবব।
সাত বছর ধরে ডেট করার পর, জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা, ১২ আগস্ট, ২০১৪ সালে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা মাহিম করিমকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে তার একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু সারিকার সংসার ভেঙে যায় ২ বছর পর।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার ডিভোর্সের পর থেকে বেশ ভেঙে পড়েন সারিকা। নিজেকে একেবারেই গোপনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি সব কিছু থেকে। ছিলেন অভিনয় থেকে দূরে। এরপর আর জড়াননি কোনো সম্পর্কে। এরপর ৫ বছর পর আবারো বিয়ে করেন তিনি কিন্তু সেই সম্পর্কেও এখন বেজে উঠেছে ভাঙ্গনের সুর।