স্বামীর বৈবাহিক অধিকার না পাওয়ায় ডিভোর্সের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও অভিনেতা অনুভব মোহান্তি। এ নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর তিনি কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী নন। উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন ওড়িশার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। শেষ পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা জানালেন। কারণ তার স্ত্রী তাকে আজ পর্যন্ত স্বামীর বৈবাহিক অধিকার দেয়নি। তিনি আরও বলেন, কতদিন স্বামী হবেন, সেটা আদালতের সিদ্ধান্ত।
বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভারতীয় ওড়িয়া সাংসদ সদস্য ও অভিনেতা অনুভব মোহান্তি। তার স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীও একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। আবেদনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে বর্ষা আর কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা করতে রাজি নন। উল্টো নেটের মাধ্যমে তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা জজ মনে করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (এডিজেএম) বিবাহবিচ্ছেদ দায়ের করা হয়েছে। বিচারক বর্ষাকে দুই মাসের মধ্যে অনুভবের পৈত্রিক বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, অভিনেত্রী বর্ষাকে প্রতি মাসে ৩০হাজার রুপি ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য একটি আদেশে, অনুভব বর্ষার আয়ের উৎস প্রকাশের দাবিও করেছেন। গত সপ্তাহে শুনানি শেষ হলেও আদালত এখনও রায় দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। কিছুদিন আগে অনুভব অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে বিয়ে করলেও বর্ষার সঙ্গে তার কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ছিল না। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে তার স্বীকারোক্তি নির্যাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছিল, এবং তার স্বীকারোক্তি নির্যাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছিল। কারণ স্ত্রী তাকে আজ পর্যন্ত স্বামীর বৈবাহিক অধিকার দেয়নি। তিনি আরও বলেন, কতদিন স্বামী থাকবেন তা আদালতের সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী এই বিষয়ে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে ফ্যাক অ্যাকাউন্ট এবং ফ্যান পেজ চালাতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রোফাইলের মাধ্যমে ভক্তদের এই ফাঁদে না পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ওড়িশার ফিল্ম অভিনেতা অনুভব ২০১৩ সালে উড়িষ্যার শাসক দল বিজু জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম আদালতে স্ত্রী বর্ষার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ সময় বর্ষাও অভিযোগ করেন। অভিনেত্রী তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে পুলিশ এবং ওড়িশা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন।