জায়েদ খান এবং শাকিব খান দুজনেই বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রির বহুল আলোচিত ও সুপরিচিত চেনা মুখ। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করছে। এমনকি তারা চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতিতে ও বিশেষ ভাবে যুক্ত। বর্তমান সময়ে এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে জায়েদ খান। অবশ্যে পূর্বে এই সমিতিতে সভাপতি ছিলেন শাকিব খান। তবে সম্প্রতি এই শিল্পী সমিতিতে বিভিন্ন বিষয় মতবিরোধ এবং নানা অভিযোযগ উঠেছে। এদিকে এরই ভিত্তিতে এবার শাকিব খান প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন জায়েদ খান।
টানা দুইবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। তার আগে কমিটির নেতৃত্বে সভাপতি ছিলেন শাকিব খান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেও সভাপতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে নেই জায়েদের কোনো অভিযোগ! আলাপকালে জায়েদ খান বললেন, শাকিব ভাই খুব ভালো মানুষ। তার সময়ে সমিতির কিছু অনিয়ম থাকলেও তিনি এসবের মধ্যে ছিলেন না। শাকিব ভাই ব্যস্ত স্টার। সবসময় কাজের মধ্যে ডুবে ছিলেন। তাকে যা বোঝানো হতো তিনি আপন মনে তাই বিশ্বাস করতেন। তবে সাধারণ পদে থেকে অমিত হাসান অনিয়ম করেছেন। জায়েদের অভিযোগ, ‘সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ সিনেমা মুক্তি না পেলেও অমিত হাসান টাকা নিয়ে সদস্যপদ দিয়েছেন। শাকিব ভাই নির্দোষ। অমিত হাসান এসব কিছু করেছেন।’
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অমিত হাসান বলেছেন, জায়েদ খানের কমিটি ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার বাতিল করেছে। তারা কি মাছ বিক্রি করেন? সেলুনে চাকরি করেন? চিত্রনায়িকা ইরিন জামান, শিমু ইসলাম কি মাছ বিক্রি করেন! সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় হয়নি। আমি কী অন্যায় করেছি, বলতে হবে। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম। কোনো অন্যায় করিনি। অমিত হাসানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জায়েদ খান বলেন, আমি অনেকগুলো নাম বলতে পারবো যারা একটাও সিনেমায় অভিনয় করেনি। তাদেরকে অমিত হাসান টাকা নিয়ে সদস্য পদ দিয়েছেন। আমি তো তাদের সদস্যপদ বাতিল করিনি। তারা সহযোগী সদস্য রয়েছে। তারা কমপক্ষে পাঁচটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করলে মূল সদস্য করা হবে। অমিত হাসান এই চেয়ারটায় বসে অন্যায় করে গেছেন। এই অন্যায় আমি করবো না। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী জানুয়ারিতে। সেখানে আবারও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকে সংগঠন বা নেতৃত্ব দেয়ায় আগ্রহ বেশি। এজন্য ছাত্র থাকাকালীন সংগঠন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
এমনিতেই বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিনোদন মাধ্যমে দূরঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবং দিন দিন দেশের সিনেমা হল গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সংকটময় পরিস্তিতিতেও শিল্পীদের জন্য পরিচালিত শিল্পী সমিতি প্রায় সময় নানা কর্মকান্ডকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এই সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মিশা সওদাগার এবং সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন জায়েদ খান।