ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান বর্তমান সময়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। কারণ পর পর দুটি প্রেম এবং বিয়ের বিষয় একই রকমভাবেই ঘটালেন এবং যার পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। অপু বিশ্বাসের পর বুবলিকে নিয়ে একই রকম নাটকীয়তা ঘটিয়েছেন সিনেমা পড়ার এই শীর্ষ নায়ক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আমেরিকায় ছিলেন, সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি বিয়ের ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
বুবলীর গোপন বিয়ের খবর এবং তাদের আড়াই বছরের ছেলে বীরের প্রকাশ্যে আসার খবর চলচ্চিত্র দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এরপর তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন এবং বর্তমান অভিনেত্রী পূজা চেরির সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরদার হয়ে ওঠে। এসব ঘটনায় শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সম্মিলিত ছাত্র সমাজের ব্যানারে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘নারী খেলনা নয়, সঠিক পরিচয় দিতে হবে’, ‘শাকিব খানের বিরুদ্ধে এফডিসি কর্তৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি’, ‘শুধু সন্তান নয়, স্ত্রীদেরও স্বীকৃতি দিতে হবে। ‘, ‘একের পর এক ডিভোর্স দেওয়া পুরুষের কোনো বীরত্ব নয়’ ইত্যাদি।
মানববন্ধনের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে বলেন, জীবনের প্রয়োজনে এবং স্ত্রীদের মতামত নিয়ে একবারের বেশি বিয়ে করা অপরাধ নয়। কিন্তু বিয়ে গোপন করা এবং স্ত্রীদের সম্মান না করার বিষয়গুলো লক্ষণীয়। শাকিব খানের এমন নৈতিক স্খলন যুব সমাজকে বিপথে নিয়ে যাবে। তাই এসবের প্রতিবাদে আমরা এখানে হাজির হয়েছি।
শাকিব খানকে নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন। অপু বিশ্বাস, বুবলি, পূজা চেরির সাথে বিয়ের গুঞ্জনের পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার একজন নারীও শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এক দিক দিয়ে শাকিব খান আইনগতভাবে কোনো অপরাধ করেননি। তিনি অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্সের পরই বুবলিকে বিয়ে করেছেন। তবে তার নাটকীয়তার পিছনে কোন রহস্য রয়েছে, সেটা এখনো কিছু বলেননি শাকিব খান।