ত্রিভুজ সম্পর্কের টানাপোড়েনে ঢালিউডের দুই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্ক অনেকটা দা-কুমরার মতোই। তাদের মধ্যে এই বিরোধ শাকিব খানকে নিয়ে। দুজনই এখন শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী হলেও তাদের সম্পর্কের কোনো উন্নতি হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের পোস্টগুলি ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এমন একটি আভাস দেয়।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বুবলীকে নিয়ে ঢালিউড কুইন খ্যাত অভিনেত্রী অপু বলেন, বুবলীকে তিনি অপছন্দ করেন।
এ নিয়ে আবারও কথা বললেন অপু। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। আমি একজন তারকা এবং পাবলিক ফিগার। আবার হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার আর মা নেই। কিন্তু আমার মা আমাকে কিছু জিনিস শিখিয়েছেন। সেসব মেনে চলি। কিছু সীমারেখা থাকে। সেসব অতিক্রম করা উচিত নয়। আর যাকে নিয়ে কথা উঠল, আমার কাজের জায়গা কলকাতায় বসে এসব নিয়ে মন্তব্য করলে অলক্ষ্মী হতে পারে। এ জন্য কোনো মন্তব্য করব না আমি।
শাকিব খানের সঙ্গে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেন অপু। কোনো ধরনের বিতর্ক থেকে দূরে থাকার জন্য ঢাকাই নায়িকাদের সঙ্গে নায়কের এমন দূরত্ব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই চিন্তায় কেউ কখনো কাজ করে না। তিনি (শাকিব খান) যেসব ছবিতে কাজ করছেন, সেখানে অন্য দেশের নায়িকাদের চাহিদা রয়েছে। এ কারণে তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন বলেও জানান অপু।
দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অপু বলেন, না, এটা নিয়ে কখনো ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকার কি? বাংলাদেশে আমার একটা জায়গা আছে যেখানে সবাই মনে করে অপু যাই করুক তার মধ্যে একটা বার্তা থাকে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শকদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু সন্তান পাবে সৎ বাবা! সেই বাবা সন্তানকে সমান ভালোবাসা দেবে না। তাই ভাবছি, দ্বিতীয়বার বিয়ে করব না!তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর প্রশ্ন করা হয়, শাকিব খান তো দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেব না।