ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহান শহীদ দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৬ জন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রেজা রুকু ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা স্লোগান দিতে দিতে কলেজের পেছনের গেট দিয়ে চলে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কলেজে স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজের পেছনের সড়কে চলে গেলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল ছোঁড়া শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিপরীত দিক থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে ২ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শহরে মহড়া দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফেরার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের ৫ নেতা আহত হয়েছেন।
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতারা শহরে মিছিল বের করেন। এ সময় আমার বন্ধু খালেদ সাইফুল্লাহ হাতে রামদা, রড, হকি স্টিক নিয়ে মিলনের পূর্বাশা পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ৫০ গজ দূরে থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করে,” যোগ করেন সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
কালীগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মী রুকুকে ফুল দিতে যাওয়ার পথে একা পেয়ে আহত করে। তাকে চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মল্যার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করে সমাবেশে আছেন বলে কলটি কেটে দেন।