শরীর পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন গোসল করা খুবই জরুরি। তবে গোসলের সময় বাড়তি যত্ন নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ পরিষ্কার করা জরুরি।
তা না হলে ওইসব জায়গায় ব্যাকটেরিয়া জমে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শরীরের এই ৭টি অঙ্গ প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে বিপদ! চলুন জেনে নেই শরীরের কোন কোন অঙ্গ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরি-
১. পা: গোসলের সময় হোক আর বাইরে থেকে ফিরে তাৎক্ষণিক পা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জীবাণু। কারণ পায়ের মাধ্যমেই বাইরের বিভিন্ন জীবাণু ঘরে প্রবেশ করতে পারে।
তাই ভালো মানের ফুট স্ক্রাব ব্যবহার করুন। পা পরিষ্কার করার সময় পায়ের আঙুল এবং পায়ের তলার দিকে বেশি মনোযোগ দিন। নখের চারপাশও পরিষ্কার করুন।
২. বগল: অনেকেই নিয়মিত তাদের বগলের চুল পরিষ্কার করেন না, এতে কিন্তু আপনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। না হলে সেখানে ঘেমে জীবাণু জমতে পারে।
তাই নারী-পুরুষ উভয়েরই বগলের চুল পরিষ্কারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। আর গোসলের সময় অবশ্যই স্পঞ্জের সাহায্যে বগল পরিষ্কার করতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন।
৩. কান: কানকে জীবাণুর প্রজনন ক্ষেত্র হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। এজন্য প্রতিবার গোসল করার সময় কানের চারপাশের জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। একটি স্যাঁতসেঁতে নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন, বিশেষ করে কানের বাইরে এবং সামনের চারপাশ।
৪. নাভি: যাদের নাভি অনেকটা গর্ত, তাদের উচিত নিয়মিত সেটি পরিষ্কার করা। জানলে অবাক হবেন, নাভি হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। তাই গোসলের সময় অবশ্যই নাভি পরিষ্কার করুন ভালোভাবে।
এক্ষেত্রে নখ দিয়ে ময়লা দূর করার চেষ্টা করবেন না। পরিবর্তে, একটি নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে নাভি পরিষ্কার করুন।
নাভি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু জমে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এটি নাভিতে সংক্রমণের কারণও হতে পারে।
৫. দাঁত: শুধু সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই নয়, প্রতিবার খাওয়ার পরেও দাঁত পরিষ্কার করুন। দাঁত শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে মুখের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
জেনে অবাক হবেন যে নোংরা দাঁত হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস সহ মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। তাই দিনে অন্তত দুবার ব্রাশ করুন।
৬. যৌনাঙ্গ: পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই উচিত প্রতিবার গোসল এবং টয়লেটের পরে তাদের যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া। তা না হলে সেখানে জীবাণু জমে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
৭. মলদ্বার: প্রতিবার মলত্যাগের পর পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। অনেকে টিস্যু ব্যবহার করেই পরিষ্কারের কাজটি সম্পন্ন করেন।
মলদ্বার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল আনসেন্টেড সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে ভুলবেন না।