১০ ডিসেম্বরের জনসভাকে ঘিরে সং/ঘাতের আশঙ্কা করছে না আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে হেরে যাবেন, এটাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিশ্চিত। যারা ভোটের অধিকারে বাধা দেবে; ভোটাররা তাদের বাধা দেবে। বিএনপি বাধা দিয়ে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। আরো বাধা আসলে জনগণ দ্বারা প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে ঠেকানো যাবে না, ঠেকাতে পারবে না। যারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা যে সফল হবে না তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। নির্বাচনকে সমান রেখে দেশের কোথাও প্রার্থীদের মধ্যে সং/ঘর্ষ বা স/হিংসতার উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। যা হচ্ছে সবই না/শকতা এবং বিএনপি ও তার সহযোগীরা করছে। ভাঙচুর পরাজিত হবে, জনশক্তির জয় হবে। যুগে যুগে, প্রতিটি দেশে এটি প্রমাণিত হয়েছে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম হবে না।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে কোনো সং/ঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,
কয়েক মাস ধরে এই ঢাকায় বিএনপি সমাবেশ করেছে, আমরাও করেছি। আপনি (সাংবাদিক) আপনারা পাল্টাপাল্টি বলে রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু পাল্টাপাল্টি কোনো লড়াই হয়নি। এক পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের কোনো বিরোধ ছিল না। তারা মিছিল করেছে এবং আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেছে। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। আর দশম তারিখ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এদিন সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। এখানে পার্থক্য কি? বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হবে, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কোন পাল্টা যুক্তি নেই।
পাল্টাপাল্টি কথা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে কোনো পাল্টাপাল্টি সং/ঘর্ষ হয়নি, ঢাকা মহানগরীতে কোনো গ্রুপের মধ্যে সং/ঘর্ষ হয়নি। তাহলে বলেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দল থেকে কিছু আসন দাবি করতে পারে যারা বিজয়ী হতে পারেন এমন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই।