দেশের মধ্যে কোনোকিছু নির্মাণ করা হলে তাতে জনগনেরই উপকারে আসে। জনগণের এই জ্ঞানটি রাখতে হবে যে দেশের সম্পদ নষ্ট করে নিজেদেরই ক্ষতি। চুরি করা খুব অন্যায়মূলক একটি কাজ। এই স্বভাব পরিবর্তন করাটা খুবই দুষ্কর। তবুও মানুষ চেষ্টা করলে পারেন না এমন কাজ নেই। সম্প্রতি জানা গেছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর তার চুরি করার ঘটনায় ৫ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিরোজপুরে কচা নদীর উপর নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কাউখালি প্রান্তের বিদ্যুৎ লাইনের তামার তার উদ্বোধনের আগেই চুরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) চুরি হওয়া তার ভান্ডারিয়া উপজেলার একটি ভাঙারির দোকান থেকে বস্তাভর্তি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ভাঙারি দোকানদারসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার ভাঙারির দোকানদার বেলায়েত হোসেন, একই উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৪৫), দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে বেলায়েত হাওলাদার (৩০), কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামের জাকির আকনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০), একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে কাওছার হোসেন (২২) ও হোসেন গাজীর ছেলে ওহিদুল গাজী (২৫)।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, তারা দুইদিন ধরে বেকুটিয়া সেতুর ল্যাম্পপোস্টের নিচের ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনের মূল্যবান তামার তার কেটে নিয়ে বিক্রি করেন। এই চোর চক্রটির বিরুদ্ধে বেকুটিয়া সেতুর লোহার রড ও পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্রিজের ভিম, এঙ্গেলসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করার অভিযোগ রয়েছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন জানান, বিদ্যুতের তার চুরির বিষয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। মামলার তদন্ত করে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই ভাঙারির দোকান থেকে চারটি বস্তা ভর্তি অবস্থায় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই উন্নয়নকে যদি অপকর্মের দ্বারা রহিত করা য়হ তাহলে এর থেকে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না। সামান্য জ্ঞান থাকলে মানুষ দেশের সম্পদ চুরি করে কখনই দেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেবার চেষ্টা করতো না।