বাড়িতে পোষা প্রাণীর তালিকাতে প্রথমেই যে নামটি আসে সেটা হলো বিড়াল, আর এই আদুরে প্রানীটিকে আলাদাভাবে মূল্য দেওয়া হয়। তবে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে বিড়াল রাখতে পছন্দ করেন তাদের বিড়ালদের ‘পাহারা’ দিয়ে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে দমকল বিভাগ। না, এই আদুরে প্রানীটি হারিয়ে যাওয়া বা রোগ ছড়ানোর ভয়ে নয়। বরং অসহায় প্রাণীটির প্রতি এই ধরনের সতর্ক বানী দিয়েছেন দমকলকর্মীরা কারন একশোরও বেশি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এক বিড়াল। এরপর তারা এই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে। গত পরশু (শুক্রবার) মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমন খবর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় শতাধিক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে বিড়াল প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। সিউল মেট্রোপলিটন দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১০৭টি বাড়িতে বিড়ালের কারণে আগুন লেগেছে।
দমকল বিভাগ জানায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিড়াল ইলেক্ট্রিক চুলা জ্বালিয়ে দেওয়ার ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক চুলার টাচ বাটনে লাফালাফি করে বিড়াল সেগুলো চালু করে ফেলে। চালু হওয়ার পর খুব বেশি উত্তপ্ত হয়ে যন্ত্রটিতে আ’গুন ধরে যায়। সেই আগুন বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে বলে দমকল বিভাগ জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মালিক বাইরে থাকার সময় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে চারজন আহ’/ত হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
সেখানকার দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিড়ালের দ্বারা আগ্নিকান্ড ঘটার সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যাদের পোষা বিড়াল রয়েছে তাদেরকে বলছি তারা যেন বাড়ির এই পোষ্যটিকে খেয়াল দিয়ে রাখে, এবং এ বিষয়টির প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার কথাও বলছি। কারণ এই অনাকঙ্খিত ঘটনার পর যদি বাড়িতে কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে সেটা একটা অনেক খারাপ অবস্থার দিকে যেতে পারে।