হিরো আলম বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি নাম। নানা ধরনের মিউজিক ভিডিও আর গান করে সব সময়ই তিনি থাকেন আলোচনার শীর্ষে। সম্প্রতি এই গানই হয়ে দাড়িয়েছে তার কাল। আর গানের কারনেই তাকে দিতে হয়েছে জবাবদিহীতা। এ দিকে এবার তার এই বিষয়টি নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্ব খুজস্তেজা নুর এ নাহরিন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনি তুলে ধরা হলো হুবহু:-
চারিদিকে শক্তিশালী আলমরা হিরো সেজে গোঁফে তা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ”যত দোষ নন্দ ঘোষের” মত দুর্বল আলমদেরই কেবল দোষ হয় ।
আমরা অন্যান্য রাঘব বোয়াল হিরোদের বেসুরো গান বন্ধ করতে না পারলে একা চুনোপুঁটি হিরো আলমের গান বন্ধ করার যোগ্যতা রাখি না।
প্রতিবাদ করছি দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধ হোক। গান হচ্ছে মনের নরম কোমল অভিব্যক্তি। যত বেসুরোই হোক গান গাওয়া প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার এই অধিকার হরণ করার আপনি কে ?
সে নিজের ইচ্ছায় গান গাইবে শুনা না শুনা আপনার সিদ্ধান্ত। শখ হচ্ছে সবচেয়ে দামী গুপ্তধন, তাকে যত্ন করে আগলে রাখতে হয়, মানুষের শখের উপর ক্ষমতা দেখাতে নেই।
পারলে ক্ষমতাধর মানুষের বেসুরো কণ্ঠে গান গাওয়া ঠেকিয়ে দেখান ।
পারবেন না জানি ।
অশ্লীল কোন নায়িকার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখুন মুহূর্তের মধ্যে আঙ্গুল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিবে।কারণ তাঁরাও ক্ষমতাবানদের কাছের মানুষ।
যত দোষ হয় সব কেবল অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল ক্ষমতাহীন আলমদের ।
সবাই শক্তের ভক্ত নরমের জম।
ফোর্স করে হিরো আলমের গান বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া মানে তাঁর লাখো ভক্ত স্রোতার ইচ্ছা-অনিচ্ছার টুটি চেপে তাঁর কণ্ঠ রোধ করা।
দেশের সংগীতের মান যদি মুখ্য বিষয় হয়তবে হিরো আলম একা কেনো আরও তো আছে হোমরা চোমড়াও অনেকে গান গায় বেসুরো গলায়। বেসুরো গলার গান ভাইরাল হলে যেমন দেশ ও জাতির শিল্প মান ডিগ্রেডেড হয় তেমনি আইন সকলের জন্যে সমান না হলে সমাজের অবস্থাও ডিগ্রেডেড হয়।
বেসুরো অন্যদের যদি মুচলেকা দিতে না হয় তবে একা আলম কে দিতে হবে কেন ?
তফাৎ টা কোথায় ?
এসব আলমদের মুচলেকা দেওয়ায়, পতনে অর্জন কিছু দেখি না। কিন্তু ওর পেছনে আপনাদের লেগে থাকাই প্রমাণ করে কোন না কোন ভাবে এই সমাজে সেও মেটার করে, চাই অথবা না চাই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
প্রসঙ্গত, রবিন্দ্র সংগীত বিকৃত গাওয়ার জন্য মামলা করা হয় হিরো আলমের নামে। আর সেই মামলার জের ধরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ডিবি কার্যালয়ে। সে সময়ে তিনি আর রবিন্দ্র সঙ্গীত গাইবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।