সম্প্রতি কিছুদিন আগে পুলিশকে দেখেই প্রেমিককে ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই আলোচিত লেডি বাইকার রিয়া রায়কে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদক আইনে করা মামলায় গত বেশকিছু দিন পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর এরই মধ্যে গত ৩০ নভেম্বর তার পক্ষে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তার পক্ষে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পুলিশের তথ্যমতে, চলতি মাসের ৭ নভেম্বর সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার হন রিয়ার প্রেমিক। ওই ঘটনায় আরমান সামীকে প্রধান আসামি করে রিয়াসহ দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে সিলেট বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫০০ গ্রাম মদ, ১০ পিস ইয়াবা ও দুই প্যাকেট গাঁজাসহ গ্রেফতার করার পর প্রেমিক সামী জানায় তার সঙ্গে লেডি বাইকার রিয়াও ছিল। কৌশলে সে পালিয়ে গেছে।
সামীর মা-বাবা বলেন, টিকটকে একসঙ্গে ভিডিও তৈরি করত সামী ও রিয়া। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। তবে রিয়া হিন্দু ধর্মের এজন্য সামীকে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল পরিবার।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দাশ জানান, রিয়াকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। বর্তমানে জেলে আছেন রিয়ার প্রেমিক আরমান সামী।
প্রেমিক আরমান সামীর মা-বাবার দাবি, লেডি বাইকার রিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদক দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে তাদের ছেলেকে। অপরদিকে রিয়ার পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ফাঁসানো হয়েছে তাদের মেয়েকে।
পুলিশ বলছে, মামলার তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে বিস্তারিত। রিয়া রায় নিজেকে সিলেটের ফার্স্ট লেডি বাইকার হিসেবে দাবি করেন। মাথায় হেলমেট, চোখে রঙিন চশমা পরে বিলাসবহুল মোটরসাইকেল নিয়ে সিলেট নগরীর অলিগলিসহ রাজপথে দেখা মিলত তার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক থেকে শুরু করে ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিতা পেয়েছেন লেডি বাইকার রিয়া রায়। তাই নতুন করে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোনো কিছু নেই। তবে সম্প্রতি তাকে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড়াতে হবে, তা রীতিমতো ভাবতেও পারেননি ভক্তরা।