রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে সম্পূর্ণ বিশ্বে চলছে জ্বালানি সংকট আর সেই সংকটের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও সেই প্রভাব থেকে বাইরে নেই। তবে বাংলাদেশের সরকার সকল ধরণের সংকট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জানা গেল একটি খবর। সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ এ আরাফাত বলেছেন কয়েক মাসের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না, মানুষ স্বস্তি পাবে।
বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ খাতে চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ১০ বছর পিছিয়ে গেছে। জনগণকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এবং পরবর্তীতে এই খাতকে স্থিতিশীল করতে এবং লোডশেডিং দূর করতে শেখ হাসিনা সরকারকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বাংলাদেশ ভুলে গেল লোডশেডিং কাকে বলে! কিন্তু আজ যখন করোনা-পরবর্তী জটিল বাস্তবতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব জ্বালানি বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলি, যারা আমাদের আগে ১০০% বিদ্যুতের দেশ ছিল, তারা এখন শক্তি সাশ্রয়ী হতে বাধ্য হচ্ছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন শক্তি-সাশ্রয়ী, দায়িত্বশীল এবং দূরদর্শী পদক্ষেপও নিচ্ছে। এমন বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত।
তাদের অসৎ ও মিথ্যাবাদী কর্মীরাও প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অপশক্তির জন্য দুঃসংবাদ আসছে। আগামী তিন/চার মাসের মধ্যে আরও ৪ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং লোডশেডিংয়ের এই সমস্যা আর থাকবে না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি পাবে, কিন্তু বিএনপি-জামায়াতি বাংলাদেশবিরোধী চক্র অস্বস্তিতে পড়বে। তখন তারা কি বলবে? লেখক: চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন
প্রসঙ্গত, বিদ্যুতের আবিষ্কার বিশ্বকে এনে দিয়েছে আধুনিকতার শোঁয়া। বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমানে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তাই চলতি সংকটের সমাধানে বিদ্যুতের ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাবইকে হিসেবি হতে হবে।