গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফট দুর্ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে এক রোগীর আত্মীয় নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদ কুমিল্লার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার তরগাছ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার শিশুটি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্য আইয়ুব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরাও এসেছিলাম। পরে লিফটের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে তাকে (জাহিদ) রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই লিফটে কয়েকদিন ধরে সমস্যা ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং কাউকে সতর্কও করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহিদ তার সন্তানকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে (দশ তলা) ভর্তি করেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল নিচে নামার জন্য ১০ তলায় লিফটের বাটনে চাপ দেন। কিছু সময় পর লিফটের দরজা খুলে যায়। লিফটের মেঝে ফাঁকা ছিল। তিনি ভেতরে পা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিচে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার শ্যালিকাসহ অন্যান্যরা অল্পের জন্য রক্ষা পান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনজুর মোরশেদ বলেন, আমরা শুনেছি একজন লিফট থেকে পড়ে গেছেন।পরে লোকজন লিফট থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, লিফট থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা জানতে পেরেছি, লিফটি সচল ছিল না। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে মমতাজ (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত ৩ মে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী জিল্লুর রহমান (৭০) হাসপাতালের ১২ তলায় লিফটের পাশের ফাঁক দিয়ে পড়ে মারা যান।