গত পরশুর লঞ্চ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল অসংখ্য মানুষের। ঘুমন্ত যাত্রীরা, মধ্যরাতে হঠাৎ লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণ, আগুনের শিখা গুলো যেন রাঙ্গিয়ে দিলো আকাশটাকে রক্তিম বর্ণে। রক্ত আর আগুনের আভা যেন এক হয়ে গেছিল কিছু সময়ের জন্য। ভিতরে আগুন বাইরে অথৈ পানি বাঁচার যেন কোন উপায় আর অবশিষ্ট রইল না। পুড়ে মরল অনেকেই, অনেককে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু প্রান চলে গেল অনেকগুলো মানুষের। অবশেষে জানা গেল মৃত যাত্রীরা সবাই বরগুনার। দেওয়া হচ্ছে আজ তাদের গণকবর।
আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের সবাই বরগুনার। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ এ রাত ৩ টার সময় আগুন লাগে। আজ গণকবর
রাত তিনটার সময় আগুন লাগার পর যাত্রীদের ছুটাছুটি,হুরাহুরি শুরু হয়। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে বাঁচার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে । বাাঁচার শেষ ইচ্ছা যখন ক্ষীণপ্রায়, তখন অনেকই নদীতে ঝাপ দেয়।
স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, নিহতরা প্রায় সবাই বরগুনার। এদিকে নারী, শিশুসহ আগুনের কাছে প্ররাস্থ ৩৫ টি তাজা প্রাণ।
শরীরের আগুন নিয়ে পানিতে লাফিয়ে পরে প্রায় শতাধিক মানুষ। এদের অনেকেরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় তিন জন। দগ্ধ ১০০ জনের উপরে ,আরো নিখোঁজ রয়েছে ৫০ জনের মত।
অন্যদিকে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৫৩ জন , ঢাকায় ১৬ জন এবং ঝালকাঠিতে ১৫ । আজকে মৃতদের গন কবর দেওয়ার হবে বলে জানা যায়। বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি দেইরী নামক এলাকা পোনাবালীয় ইউনিয়নের অন্তগত সুগন্ধা নদীতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
একের পর এক দুর্ঘটনার খবর প্রায় সময় শোনা যায়। তবে এ দুর্ঘটনা টা আসলেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে বরগুনা সহ দেশবাসীর কাছে। মৃত বেশিরভাগকে সনাক্ত করা গেলেও এখনও রয়েছে নিখোঁজ অনেকেই। তবে যাদেরকে সনাক্ত করা গেছে তারা সবাই বরগুনার। আর একটু পর দেওয়া হবে তাদের গণকবর।