বিএনপির কোনো কোনো রাজনীতিক নেতাকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। থানা এবং অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শাখা কমিটিগুলোতে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই পদায়ন করা হচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতারা মোটা অংকের টাকা নিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ী, নারীদের সাথে খারাপ কাজ করা অভিযুক্ত ব্যক্তি এমনকি রাজাকার সন্তানদের পদও দিচ্ছে।
এক সময় এই বিষয়টির আভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এবার কমিটি ব্যবসায় তারেক রহমানকে পেছনে ফেলে কে’লেঙ্কারি করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। তার সঙ্গী ছিলেন সদস্য সচিব আমিনুল হক।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬টি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তারা। বিনিময়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আমান-আমিনুলের এই কমিটি বাণিজ্যের শিকার হয়েছেন অনেক নেতা।
পদচ্যুত এসব নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির থানা কমিটিকে ঘিরে স্থানীয়তা ও আর্থিক লেনদেন হয়েছে। নারীদের সাথ খারাপ কাজ করা ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকাদের বংশধরসহ অনেকে অপরাধী ব্যক্তিদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে তারাই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
এদিকে বিক্ষু”ব্ধ ও পদচ্যুত নেতাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। এমনকি তার কমিটি বাণিজ্যের অংশীদার আমিনুল হকও জানেন না আমানুল্লাহ আমান কোথায়।
আমানউল্লাহ আমান এর আগেও দলে বেশ বিতর্কিত অবস্থায় পড়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি দলের শীর্ষ পর্যায়ের অবস্থান থেকে দূরে সরে রয়েছেন। তবে তিনি ঠিক কতজনকে এইভাবে পদায়ন করেছেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।