ঢাকা সফরে রয়েছেন ডোনাল্ড লু যিনি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই সফর নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল, তবে তার সাথে বৈঠকের মাধ্যমে প্রথমিক আলোচনা সম্পর্কে জানা গেল। তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সেই সাথে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করারও বার্তা দিয়েছেন।
রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর উভয় পক্ষ যৌথ ব্রিফিং করে।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বাংলায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন লু। এরপর বাংলায় তিনি বলেন, নদীতীরবর্তী ও অতিথিপরায়ণ মানুষের দেশ বাংলাদেশে এসে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব জোরদার করতে। যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি ও নির্বাচনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাবের বিষয়ে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত সপ্তাহের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হ”/ত্যাকাণ্ড হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চিহ্নিত করা হয়েছে। এটা খুব ভাল কাজ. র্যাব যে মানবাধিকার রক্ষার মাধ্যমে স”/ন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করতে পারে তা প্রমাণিত।
কোন পরামর্শ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব গর্বিত, আমরা আজ শ্রমিক অধিকার নিয়ে কথা বললাম। এটা বাংলাদেশের জনগণ ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। এদেশে শ্রমিক অধিকার উন্নয়নে সহযোগিতা করবো। এই এলাকায় যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে আমরা গর্বিত।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন লু। তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মার্কিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাঈম উদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
গত ৩০ বছর ধরে, ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য একজন বিদেশী কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, লু দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করলেও এটিই তার প্রথম ঢাকা সফর।
প্রসংগত, বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে তিনি আগামি নির্বাচন নিয়ে তিনি ঠিক কী বার্তা দিবেন সে বিষয়টির দিকে নজর সবার। তবে প্রাথমিক আলোচনায় যে বিষয়টি জানা গেছে সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো কূটনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা সেটাও গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।