সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের বিরুদ্ধে গু/ম, বিচারবর্হিভূত হ/ত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। পরে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয় বিভিন্ন মহলে। র্যাবের এমন কর্মকান্ডে নিয়ে বাংলাদেশসহ এপিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি পাঠায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে অনেক ব্যবস্থা নেওয়ার সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি বলে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর কিছু উচ্চপদস্থ ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তার কারণ বাংলাদেশ সরকার বার বার জানতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা কোনো সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। তাই আমরা জানি না। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভ্যাস রয়েছে। সুতরাং, সুতরাং, এটা তাদের ব্যাপার।’
এ সময় দেশে সন্ত্রাস দমনে র্যাবের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হা/মলার পর দেশে আর কোনো স/ন্ত্রাসী হামলা নেই। এটাই ছিল শেষ।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স/ন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করছেন।
প্রসঙ্গত, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কিন্তু যু্ক্তরাষ্ট্র কোনো তথ্য না দেওয়ায় কিছুই বুঝা যাচ্ছে না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন । যে কারনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না।