র্যাব হলো বাংলাদেশের অন্যতম একটি সশস্ত্র বাহীনি যারা অপরাধ দমনে বাংলাদেশে খুব অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। র্যাবের এই অপরিসীম অবদানের জন্য বাংলার মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে। তাদের এই উপকারের কথা বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার এক বক্তব্যে বলেছেন পুনর্গঠন ছাড়া র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠবে না।
এখন জবাবদিহিতা ও পুনর্গঠন ছাড়া র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় না। তবে সন্ত্রাসবাদ দমন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। সামরিক খাতে সহযোগিতা বাড়বে বলেও জানান এই কূটনীতিক।
এদিকে বাংলাদেশে ৫ মাসের অভিজ্ঞতায় জেনেছি এদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অসাধারণ। সেজন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাঙালির ঐতিহ্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কেমন এবং নিষেধাজ্ঞা কীভাবে উঠবে, তা নিয়ে কথা বলেন কূটনীতিক।
পিটার হাস বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা যে স্বস্তিদায়ক নয় তা বুঝতে পারছি। তবে অবশ্যই এটি দুই দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে ছোট ইস্যু। ফলে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। আমি আগেই বলেছি, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তখনই প্রত্যাহার করা হবে যখন বাহিনীকে জবাবদিহি করা হবে এবং পুনর্গঠন করা হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। একই সঙ্গে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশ পুলিশকে নানাভাবে সহায়তা করছে। আমরা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অবদান রাখছি। অপরাধ দমন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
এদিকে, পিটার হাস সামরিক খাতে উন্নত প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহারে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জিসোমিয়া এবং আকসার মতো চুক্তির গুরুত্বও তুলে ধরেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো খুবই মৌলিক চুক্তি। ধরা যাক, গভীর সাগরে জ্বালানি সংকটে পড়ে বাংলাদেশের একটি জাহাজ। এই চুক্তির কারণে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জ্বালানি সরবরাহ করব। আবার কোনো জাহাজের জন্য খাদ্য ও সরঞ্জামের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ তা করবে। এটা দুই দেশের জন্যই লাভজনক।
প্রসঙ্গত, অপরাধকারীদের কাছে র্যাব হলো জম দূতের মত। র্যাবের সক্রিয় কার্যক্রমের ফলে অপরাধকারীরা দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে একেবারে। র্যাব যে মানুষের কত বড় বন্ধু সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। র্যাব সারা জীবন মানুষের পাশে থেকে তাদের উপকার করে যাবে এমনটাই আশ্বাস সাধারণ মানুষের।