তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) দাপুটে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী না হলে তার দলের অন্য কেউ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসবেন। তিনি অবশ্য আশা করে আছেন যে তিনি পূনরায় মূখ্যমন্ত্রী হিসেবেই ফিরবেন।
“বৃষ্টি হলেও আপনার ভোট দিন। যদি আমি ভোট না পাই তবে আমি ক্ষ’তিগ্র/স্ত হব। আত্মতৃপ্ত হবেন না এবং ধরে নেবেন যে আমার বিজয় নিশ্চিত। দয়া করে এমন করবেন না। আপনারা যদি আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তাহলে আমাকে অবশ্যই ভোট দিন। প্রতিটি ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি জিততে না পারি, তাহলে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে কারণ আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই ব্যানার্জি দক্ষিণ কোলকাতার একবালপুর এলাকায় তার প্রথম নির্বাচনী সভায় বলেছিলেন, যেখানে মুস’লিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা ভোটারদের একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত।
পশ্চিমবঙ্গের দাপুটে নেত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামী রোববার (০৩ অক্টোবর)। পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও জ’/ঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র ভোট গ্রহণ শেষ। তিনটি কেন্দ্রের ভোটগণনা রোববার।
এবার গোটা বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে ৩৮টি পু’/লি’/শ পিকেট বসানো হয়েছিল। সব বুথেই ছিল ওয়েব কাস্টিং ও সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও নজ’রদা’রির জন্য ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড। যার অর্থ হাইপ্রোফাইল নির্বাচনে নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো খামতিই রাখতে চায়নি নির্বাচন কমিশন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ক’রোনা থেকে সুরক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি ও ক’/ঠো’র নিরা’পত্তার মধ্যে দিয়ে তিনটি কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়ে ৫৩.৩২ শতাংশ, সামসেরগঞ্জে ৭৮.৬০ এবং জঙ্গিপুরে ৭৬.১২ শতাংশ।
তিনটি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রটির দিকেই। কারণ দক্ষিণ কোলকাতার এই কেন্দ্র থেকেই এবার ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। আর মুখ্যমন্ত্রীর গদি টিকিয়ে রাখতে হলে এই নির্বাচনে জেতাটা খুবই জরুরি। যদিও মমতার পক্ষে ল’/ড়াইটা খুব একটা সহজ নয় বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
বুথফেরত ভোটারদের মতে, তিনি ভবানীপুর আসনে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ মমতার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তিব্রওয়াল এবং সিপিআই (এম) প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস, যিনি পেশায় একজন আইনজীবী, তারা দুজনই রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত নতুন।
আজ সকালের দিকে ভবানীপুরের ৯৭ টি ভোট কেন্দ্রের ২৮৭ টি বুথের প্রায় প্রত্যেকটিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তাদের মধ্যে নতুন ভোটার হওয়া ভোটারেরা এবং ৯০ এরও বেশি বয়সের ভোটারেরা বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকাল ৩ টার দিকে হরিশ মুখোপাধ্যায় রোডে অবস্থিত মিত্র ইনস্টিটিউশন স্কুল ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন। তারপর তার ভাইয়ের ছেলে অভিষেক ব্যানার্জি বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে একই বুথে ভোট দেন।