উরুগুয়ের সাথে মাঠে খেলতে নেমে পর্তুগালের করা একটি গোল নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ব্রুনো ফার্নান্দেজ দুর্বল শট দিলেও বলটি ঠেকাতে পারেনি উরুগুয়ের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত একটি গোল অর্জন করে নেয় উরুগুয়ে। কিন্তু সেই সময় বাদ সাধেন রোনালদো। তিনি দাবি করেন বলটি তার মাথায় লেগেছিল। কিন্তু রোনালদোর সেই দাবি মিথ্যা হলো। প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরা পড়লো প্রকৃত বিষয়টি।
রেফারিরা আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে ফার্নান্দেস গোলের কৃতিত্ব পেয়েছেন। তা মানতে রাজি নন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার দাবি- গোলে ঢোকার আগেই মাথায় লেগে গোলে যায় বল।
এবার বিশ্বকাপে বল প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, বল রোনালদোর মাথায় লাগেনি।
বল প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে, আমাদের কাছে যে প্রযুক্তি রয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে রোনালদো তখন স্পর্শ করেননি। বল গোলের দিকে যাওয়ার সময় যে স্পন্দন আমরা দেখেছি, কোনো স্পর্শ করেনি তার মাথায়। আল রিহলা নামের এই বিশ্বকাপে যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে সেন্সর লাগানো আছে। সেদিক দিয়ে আমরা বলতে পারি বল রোনালদোর মাথায় লাগেনি।
সোমবার দুপুর ১টায় উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ চলছিল যখন প্রথম গোল আসে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে শট করেন স্ট্রাইকার ব্রুনো ফার্নান্দেস। শটে খুব বেশি শক্তি ছিল না, ফলে উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেট খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারতেন।
আর এখানেই সহজ হিসেব কঠিন করে দিয়েছিলেন রোনালদো। ফার্নান্দেজের নেওয়া শটে বল হেড করেন তিনি। গোলরক্ষক সার্জিও তখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, মাথায় লাগার পর বল দিক পরিবর্তন করবেন ভেবে। কিন্তু ফার্নান্দেজের দুর্বল শট সার্জিওর অনুমান ভুল প্রমাণ করে।
গোল শেষে গোলের অবদান রোনাল্ডোকেও দেওয়া হলে, কিছুক্ষণ পর তা পরিবর্তন করে ব্রুনো ফার্নান্দেসের নাম ঘোষনা করা হয়। এতে করে সবাই অবাক হয়ে যায়। কি হলো! রিপ্লেতে দেখা গেল যে বলটি রোনালদোর মাথায় আঘাত করেনি, বলটি সোজা ফার্নান্দেজের পায়ের মাধ্যমে গোলে চলে গেছে।
ম্যাচটি শেষ হবার পর কার মাধ্যমে গোল হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণ। আর সেখানে দেখা যায় ফার্নান্দেজের শটে রোনালদোর মাথায় না লেগে তার চুল স্পর্শ করে বলে প্রবেশ করে গোলে। সেটা দেখার পর রোনালদোর ভক্তরা অনেকটা রসিকতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, হেড দিয়ে নয়, চুল দিয়ে ব্যতিক্রমী গোল করেছেন রোনালদো।