বাংলাদেশের রেলওয়ের অবস্থাপনা ও অনিয়মের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনি আন্দোলন করেছেন। জানা যায় তিনি সহজ ডটকম এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছে। সেই আক্ষেপে তিনি রেলওয়ের অবস্থাপনার বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভে নামেন। সম্প্রতি জানা গেছে সেই আন্দোলনকারী রনিকে আওয়ামী লীগের নেতা প্রশ্ন করে খেলেন ধাওয়া।
রেলের জনতার অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনিকে নানা প্রশ্ন করে জনতার ধাওয়ার শিকার হয়েছেন একজন ব্যক্তি। তার নাম এম এ সূর্য। নিজেকে সবুজবাগ আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার ২২ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে রনিকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন এম এ সূর্য। পরে উপস্থিত জনতা তাকে ধাওয়া করলে পুলিশের সহায়তা নিয়ে তিনি সরে পড়েন।
এম এ সূর্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিউদ্দিন রনিসহ আন্দোলনকারীরা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আন্দোলন করছেন গত ৬ তারিখ থেকে। তার দাবিগুলো রেলওয়েকে জানানো হয়েছে। রেলওয়ে সেসবের উত্তরও দিয়েছে। তারপর তিনি কেন আন্দোলন করছেন?
মধ্যবর্তী কমলাপুর রেলওয়ে তার অবস্থানের অবস্থান করে মহানগর রেল রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। শনিবারে তিনি এ হস্তক্ষেপ করেন। তার সঙ্গে বেশ আন্দোলন আন্দোলন উপস্থিত। রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। আন্দোলন করায় মহি রনিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অবস্থান করে মহিউদ্দিন রনি রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। বিকেলে তিনি এ হস্তক্ষেপ চান। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী উপস্থিত রয়েছেন। রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। আন্দোলন করায় মহিউদ্দিন রনিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজেই।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, রেলের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের মানুষ জানা। যারা বিতর্কিত করতে এসেছিল তারা কারা আমি জানি না। এটা অবশ্যই কোনো ষড়যন্ত্র। তারা বারবারই আসে সমস্যা সৃষ্টি করতে। যিনি এসেছিলেন, তিনি রেল সিন্ডিকেটের লোকও হতে পারে। আমি চাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক, কেন তিনি এসেছিলেন।
আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনির দাবিগুলো হলো— টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কমের যাত্রী হয়রানি দ্রুত বন্ধ করতে হবে এবং হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে; সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার দ্বারা টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে; অনলাইনে কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে, সেই সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করতে হবে; যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া; ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, ট্রেন হলো যাতায়াতের অন্যতম একটি নিরাপদ বাহন। ট্রেনে করে প্রত্যহ বহু মানুষ দেশ ও বিদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছে খুব দ্রুত। ট্রেন আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ ট্রেনে ভ্রমন করে অনেক উপকৃত হন এবং আনন্দও পেয়ে থাকেন।