গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে সেলফি তুলতে গিয়ে ব্রিজের ওপর থেকে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে নিকস্থ একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল রুমানা আক্তার মিতু। তবে শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি ঘটায় চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত শেষমেষ মৃত্যুর কাছেই হার মেনে নিলেন তিনি। জানা গেছে, শনিবার (০৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রুমানা আক্তার মিতু। তিনি পাবনা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
মিতু সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মকসেদ আলীর মেয়ে।
পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরেফা খানম শেফালি জানান, ২৪ অক্টোবর ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজে পরিবারসহ বেড়াতে যান তিনি। সে সময় তিনি ট্রেনের লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। হঠাৎ ট্রেন চলে আসলে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
এ সময় রেললাইনের নিচে পড়ে নিঁখোজ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক সেখান থেকে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিলে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন দলের জন্য একনিষ্ঠ নেত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে রুমানার মৃত্যুতে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার-স্বজনরা। তার এই অকাল মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না কেউ।
সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন রুমানা আক্তার মিতু। এরই মধ্যে তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।