যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম ট্রেন। বর্তমান সরকার এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে আপ্রান ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশেই বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনোয়োগ করছে। এরই মধ্যে রয়েছে ট্রেন ব্যবস্থা। সম্প্রতি ট্রেন খাতের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্পেন।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্পেন। এ জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরেরও প্রস্তাব করেছেন দেশটির ট্রান্সপোর্ট মোবিলিটি ও আরবান এজেন্ডাবিষয়ক পরিবহনমন্ত্রী রাকেল সানচেজ খিমেনেজে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে স্পেনের পাসেও দে লা কাসতেয়ানায় অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট মোবিলিটি ও আরবান এজেন্ডা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশটির ট্রান্সপোর্ট মোবিলিটি ও আরবান এজেন্ডাবিষয়ক পরিবহনমন্ত্রী রাকেল সানচেজ খিমেনেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথমবার এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতেই স্পেনের মন্ত্রী বাংলাদেশের রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এসময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি রেলখাতে নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি স্পেনকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জবাবে পরিবহনমন্ত্রী রাকেল সানচেজ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের রেল সেক্টর সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশের রেল সেক্টর উন্নয়নে নেওয়া মহাপরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় রাকেল সানচেজ বাংলাদেশের রেল সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়ে তাৎক্ষণিক আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এটি শুরু করার জন্য একটি এমওইউ সাক্ষরেরও প্রস্তাব করেন। স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলার রেদোয়ান আহমেদ এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন রেলসচিব মো. সেলিম রেজা, স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ এনডিসি। মন্ত্রী রাকেল সানচেজ খিমেনেজের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টারস কেবিনেটের ডিরেক্টর রিকার্ডো মার ও ইন্টারন্যাশনাল কেবিনেটের ডেপুটি ডিরেক্টর ডি বোরখা কোনদাদো। বৈঠকে ঢাকা-পায়রা বন্দর পর্যন্ত ২৬৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে বিনিয়োগ, বেশকিছু ভবিষ্যৎ প্রকল্প, স্পেনের বিশেষায়িত বিনিয়োগ স্কীমসহ (ফিয়েম লোন) দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের এমন উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি ইতিমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য বিভিন্ন বিষয় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।