টিকিট আটকানোসহ রেলওয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতে রাজশাহী রেলস্টেশনে গণসংযোগ করেছেন মহিউদ্দিন রনি। ২৯ জুলাই বিকেলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন তিনি একটি প্রতিবাদমুলক শো করেছেন। এই সময়ে এটি পশ্চিম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা সমর্থিত ছিল।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ ৩ শিক্ষার্থীকে রেলওয়ে স্টেকহোল্ডারদের সভায় প্রতিনিধিত্ব করার নোটিশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাকি দুই শিক্ষার্থী হলেন- কামরুন্নাহার মুন্নি, রিফাত জাহান শাওন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি গণমাধ্যমকে বলেন, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কর্মচারী, রেলওয়ে পুলিশ, আনসার, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের নিয়ে গঠিত সভা বা উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা। সেখানে আমি এবং আমার বিভাগের এক বড় বোন এবং এক ছোট ভাই সদস্য হিসেবে ভর্তি হয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধি হিসেবে পর্যবেক্ষকদের পক্ষে কথা বলা বা তদবির করা এবং আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে সকল যাত্রীর সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরা। যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা ছাড়াই। এটি একটি পেশা নয়। জনগণের অভিযোগ সমাধানের জন্য। সকল যাত্রীদের দুর্ভোগ দূরীকরণ এবং ৬ দফা বাস্তবায়ন করে রেলওয়ের উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জনগণের দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এদিকে রেলের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাপক যোগাযোগ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেন তারা। রনি ও তার সহকর্মীরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অধিকার ও দাবির কথা জানান।
উল্লেখ্য, রেলের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে চলতি মাসে অনেকদিন ধরেই কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রনি। প্রথমে তার সাথে কেউ নাকলেও পরে তার সহপাঠীরা তার এই প্রতিবাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে যোগদান করেন তারা। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনায়ও এসেছিলেন তিনি। পরে গত ২৫ জুলাই সচিব হুমায়ুন কবির ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর রনি কর্মসূচি স্থগিত করেন।