বর্তমান সময়ে আ.লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ নিজেদের সুসংঠিত করার জন্য দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য নতুন কমিটি গঠন করছে। তবে এই সকল কমিটির ছাত্রনেতাদের নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। তবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড নিয়েও অনেক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এবার রাজধানীতে ছাত্রলীগ নেতাদের কর্মকান্ডের জন্য আওয়ামী লীগের চার কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করে স্টেজ থেকে নেমে গেলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ সম্মেলনের আয়োজকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দিতে পারেননি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির
সম্মেলনের প্রধান বক্তা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য কথা বলতে পারেননি।
ঢাকা মহানগরীর এই সম্মেলন সকাল ১০টায় উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা কথা বলেন মহানগর বহিষ্কার কমিটির চার নেতা। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এখন বক্তব্য রাখবেন। ‘ কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের কারণে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। এ সময় ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের চার নেতা বক্তব্য দিতে না আপারায় মঞ্চ ত্যাগ করেন।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ চাই না। কথা শোনে না, এমন ছাত্রলীগ চাই না। আমরা সুশৃঙ্খল ছাত্রলীগ চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এত নেতা মঞ্চে, কর্মী কোথায়? শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ, সেই ছাত্রলীগ নয়। মুজিব কোট পরে সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে। খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না। সব নেতা হয়ে গেছে!
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে জুমাবার, আজ হয়তো লেখকের মনে সেই কথা নাও থাকতে পারে, জয়ের কী সেই কথা মনে নেই? বক্তৃতা দিতে উঠলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তব্য দিতে হয় কেন?
এই ঘটনার পর আয়োজকদের নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেক নেতা জানিয়েছেন এটা অনেকটা বোকামি হয়েছে তাদের তরফ থেকে। তবে এই বিষয়ে শীর্ষ নেতারা আর কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।