রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরে তৈরী হচ্ছে পারমানবিক কেন্দ্র। রাশিয়া বহুকাল আগ থেকে বাংলাদেশের পরম বন্ধু। ৭১ এর যুদ্ধের সময়ও রাশিয়া ছিল বাংলাদেশের পাশে। যেকোনো সমস্যায় রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যায়। সম্প্রতি জানা গেল রুপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইভানভ আন্তন নামে এক রাশিয়ানের মিলল নিথর দেহ।
পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইভানভ আন্তন (৩৩) প্রয়ান হয়েছেন। রোববার রাতে সাহাপুর উপজেলার নাতুনহাটে বিদেশিদের আবাসন প্রকল্প গ্রিনসিটি বিল্ডিংয়ের এক কক্ষের লিফটের সামনে থেকে ওই রুশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অ্যান্টন রোসেমের রোজপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইনস্টলার হিসাবে কাজ করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গ্রিন সিটি আবাসিক ভবন নং ২-এর একটি ১২ তলা লিফটের সামনে তিনি বেশ কয়েকবার বমি করেন। কিছুক্ষণ পর একজন রুমমেট তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। গ্রিনসিটি প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রকল্পের চিকিৎসকদের জানানো হয়। কিন্তু তখন অ্যান্টনের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, লিফটের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন অ্যান্টন। পরে চিকিৎসক এসে তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। প্রকল্পের চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার প্রয়ান হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, নিথর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সহায়তায় তার নিথর দেহ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ঘটনাটি আসলেই খুব দুঃখজনক। তার প্রয়ান সত্যিই অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা। এমন ঘটনা ঘটবে সেইটা কেউ কখনও কল্পনাও করতে পারেনি। রাশিয়ান ঐ ইনস্টলার বার বার বমি করছিল বলে জানা যায়। তবে কি কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেইটা এখনো জানা যায়নি।