গেল বেশ কিছু দিন আগে সরকারের কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঘটে যায় একটি ঘটনা। যা নাড়া দেয় দেশের সব মানুষের মধ্যে।নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় ঘটে বড় ধরনের অগ্রি সংযোগ। আর যার ফলে সেখানে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ। এ দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রিমান্ড শেষে জামিন পেয়েছেন কারখানার মালিক এম এ হাসেমের দুই ছেলে। তবে হাশেমসহ বাকি ছয়জনকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে সেজান সুজ কারখানার মালিকসহ আটজন আসামিকে আদালতে তোলা হয়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন এম এ হাসেমের ছেলে তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) ও তানজীম ইব্রাহীম (২১)।
এর আগে গত ১০ জুলাই এ দুইজনসহ এম এ হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), শাহান শাহ আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই তাদের চারদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গেল বৃহষ্পতিবার ঘটে যায় এই ট্রাজেডি পূর্ণ ঘটনা। আর এই ঘটনায় ভারি হয়ে উঠে দেশের আকাশ বাতাস। স্বজনদের বিলাপের কারনে চারিদিক হয়ে ওঠে ভারি।৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।